জ্ঞাতি/ কুটম্বদের সঙ্গে বিবাদ যোগ প্রবল। ধনাগমের পথ বাধামুক্ত হবে। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির পরিকল্পনা। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কোনও রাজ্যের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হবে, তার পরিকল্পনা অর্থবর্ষ শুরুর আগেই পাঠাতে হয় দিল্লিকে। জব কার্ড ইস্যু এবং শ্রমদিবস তৈরির নিরিখে বছরের পর বছর অন্য রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে বাংলা। সেই পরিকল্পনার ভিত্তিতেই টাকা বরাদ্দ করে এসেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ, শ্রমদিবস এবং কাজ বেড়েছে বলেই অর্থবরাদ্দ বাড়িয়েছে ভারত সরকার। এতে তাদের নিজস্ব কোনও কৃতিত্ব নেই। অথচ, কাজ হওয়া সত্ত্বেও গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে একটি টাকাও ছাড়েনি কেন্দ্র। তৃণমূল এমপি জহর সরকারের প্রশ্নের জবাবে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তারপরই ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ কত টাকা পেয়েছে, সেই হিসেব মনমোহন জমানা থেকে দেখানো শুরু করেছে কেন্দ্র। লক্ষ্য একটাই, সংখ্যার ফাঁদে বঞ্চনার বিষয়টিকে পিছনের সারিতে পাঠিয়ে দেওয়া। তৃণমূলের সাফ কথা, দুর্নীতি বা শর্ত পূরণ না হওয়ার অজুহাতে কাজ হচ্ছে না। গরিব বিরোধী তকমা সেঁটে যাচ্ছে বুঝেই এখন এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে বিজেপি সরকার। ১৫ বছরের হিসেব দাঁড় করাতে হচ্ছে।
এই ইস্যুতে বুধবার সংসদের মধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। মোদি সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দলের এমপিরা বলেন, পঞ্চায়েতের আগে বাংলার শ্রমিকদের এই পাওনা আটকে রাখার উপযুক্ত জবাব পাবেন। বিজেপি এমপিরাও পাল্টা বলতে শুরু করেন, গরিবদের টাকা আটকে রাখতে চাই না। তবে মনরেগায় কাজের শর্ত পূরণ না
করলে টাকা মিলবে না। এর মধ্যে অবশ্য দুই মন্ত্রীর দু’রকম তথ্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। কারণ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন, ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাকে দেওয়া হয়েছে ৯৪ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আর সুভাষ সরকার সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে জানাচ্ছেন, অঙ্কটা ৫৪ হাজার ১৪৬ কোটি। তৃণমূলের কটাক্ষ, সংখ্যার ফাঁদ পাততে গিয়ে বিজেপি নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।