Culture

  • No One Has Empowered the Present Generation To Endanger Our Heritage

    The problem with parliamentary democracy often lies in its inscrutable legal jargon. By the time one gets to know the real purport of a Bill, it is all over and done with.

    We need, therefore, to act real fast to convince our lawmakers not to rush through with further amendments to the Ancient Monuments and Archaeological Sites and Remains (Amendments and Validation) Act, 2010.

    [ Read More ]

  • রথে, উল্টোরথে মহাপ্রভু

    ভিড়ে-ঠাসা তীর্থযাত্রায় বা ঘরের নিশ্চিত আরামে বসে দূরদর্শনের পর্দায়, যে ভাবেই বাঙালি আজ পুরীর রথ দর্শন করুক, সেই মুহূর্তে তাদের মনে পড়ে শ্রীচৈতন্যের নাম। সন্ন্যাস নেওয়ার অল্প দিন পরে, ১৫১০ সালে পুরীতে প্রথম বার পৌঁছে মহাপ্রভু ভাবে বিভোর, জড়িয়ে ধরতে গিয়েছেন দারুবিগ্রহ। সফল হননি। তাঁর স্বেদকম্পিত শরীর, আনন্দাশ্রু, রাগানুরাগা ভক্তির আবেশ ও নৃত্য কোনওটারই মর্ম সে দিন বুঝতে পারেননি মন্দিরের কর্মীরা। প্রায় উন্মাদ ভেবে তাঁকে সে দিন থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জগন্নাথ মন্দিরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রীচৈতন্য এবং তাঁর ভক্তদের অনিশ্চিত সম্পর্কের সেটাই শুরু।

    [ Read More ]

  • Not Just A Religious Issue (Beef)

    While politicians quibble over the legality of the recent rules issued by the Central government curbing the movement and trade in cattle of all types and even camels, we may like to take a look at the big picture. The oft-quoted Article 48 of the Constitution is one among the many unrealized directive principles: desirable when able. It talks of banning the slaughter of milch and draught cattle, but the point here is that no one is advocating this patently uneconomical idea. We need to understand that even the best cows become a burden to poor farmers after their lactating period is over. So do old draught animals. Most farmers, many of whom are strict vegetarians, therefore, sell them off so that other humans and cattle can be better looked after.

    [ Read More ]

  • Turning Museums into Relics

    On April 18 every year, museums in India celebrate International Museum Day and for a week or so, except for a small group of enthusiasts, all of this goes unnoticed by most of us. This is symptomatic of the disconnect between the average Indian and his heritage. Much of the mental or knowledge gap is thus substituted, rather effectively, with involuntary “correspondence courses” of post-truth half lies that are planted so vigorously on WhatsApp. But why is it that museums fail to attract us so passionately, while in the West or in the Far East, China, Japan and Korea splurge on setting up more and more museums and in drawing record footfalls?

    [ Read More ]

  • The Subaltern Deities of Bengal Are up Against Aggressive Hindutva Now

    The unprecedented display of aggression witnessed in Bengal in April in the name of Rama Navami, has perhaps distracted the Bengali people from the good old traditional deities of Chaitra. This month, from mid-March to mid-April, has always belonged to Shiva, Shitala, Annapurana or Basanti and the very indigenous Dharma-Thakur. Bengalis were very clear that Durga came home only in Ashwin and reserved ten full holidays to rejoice in her name. What lent most colour to this month was Gajan,which is so similar to Taai-pusamin Tamil country.Throughout the month, several people dressed up as Shiva-Parvati, and wandered around streets and localities: singing, dancing and invoking Mahadev. It was the Bengali way of taking a religion to the streets, with devotion and pantomime, not with swords and threats.

    [ Read More ]

  • রাম, হনুমান নয়, এটা শিব, বাসন্তী, ধর্মঠাকুরের মাস

    রামের নামে যে অভূতপূর্ব আগ্রাসনের প্রদর্শনী দেখলাম, তাতে মনে হল, আমরা চৈত্র মাসে বাঙালির পূজিত চিরকালীন দেবদেবীদের ভুলে গিয়েছি। এই মাসটা শিব, শীতলা, অন্নপূর্ণা বা বাসন্তী এবং ধর্মঠাকুরের। এবং বাঙালিরা খুব নিশ্চিত যে দুর্গা বাড়ি আসেন আশ্বিনে, তা সে বোধন অকাল হোক আর না হোক। এ মাসে সবচেয়ে বর্ণময় উৎসব গাজন, অনেকে বেশ কিছু দিন ধরে শিব আর পার্বতী সেজে বেড়ায়, শিবের নাম করতে করতে। আমরা ধর্মকে এ ভাবেই পথে পথে নিয়ে যেতাম, ভক্তি ও নাচ-গান-মূকাভিনয়ের মাধ্যমে। তরোয়াল আর হুমকির মাধ্যমে নয়। উনিশ শতকের জাতিতাত্ত্বিকরা উত্তর ভারতে রামনবমী পালনের কথা লিখেছেন, কিন্তু বাংলায় নয়। এবং এটা খুব পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হবে, দুর্গার জয় উদযাপন আর রামের জন্ম উদযাপনের মধ্যে ফারাক আছে। দুটো ঐতিহ্য আলাদা, আশ্বিনের অকাল বোধনে তাদের দেখা হয় মাত্র। বাঙালিরা একে পালন করে দুর্গার নামে, অন্যরা আশ্বিনের নবরাত্রি ও দশেরাকে পালন করে রামের নামে।

    [ Read More ]

  • কালীপুজো

    বাঙালির ধাতটাই যে আলাদা, সেটা কেবল তাকে কাঁটাওয়ালা মাছ মুখে নিয়ে অনর্গল তর্ক করতে দেখেই বোঝা যায় না, বাঙালির সরকার এবং ভগবান যে অবশিষ্ট ভারতের চেয়ে এতটাই অন্য রকম, সেটাও তার একটা প্রমাণ।

    [ Read More ]

  • বিশ্বকর্মা

    একমাত্র বাঙালিই বিশ্বকর্মার পুজো করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের একটি নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা তারিখে— ১৭ সেপ্টেম্বর। এটা একটু আশ্চর্যের। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে শিল্পী, কারিগর ও শ্রমিকরা তাঁদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পুজো করেন দেওয়ালির পরের দিন, গোবর্ধন পুজোর দিনে।

    [ Read More ]

  • জন্মাষ্টমী

    ধ র্মবিশ্বাসী হোন বা নাস্তিক, পণ্ডিতদের কাছে কৃষ্ণের আকর্ষণ বরাবরই অত্যন্ত প্রবল, তবে তাঁকে নিয়ে সবচেয়ে ঝঞ্ঝাট হল ইতিহাসবিদদের। লোকবিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, বেদে কোথাও কৃষ্ণের দেখা মেলে না, অনেক চেষ্টাচরিত্র করে তাঁর প্রথম নির্ভরযোগ্য উল্লেখ পাই খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর ছান্দোগ্য উপনিষদে। আরও পরের তৈত্তিরীয় আরণ্যকেও তাঁর কথা আছে, তবে তাঁর আশ্চর্য জন্মকাহিনির নামগন্ধ নেই সেখানে। সে বৃত্তান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে খ্রিস্টীয় তৃতীয় বা চতুর্থ শতকের বিষ্ণুপুরাণ ও হরিবংশ পর্যন্ত।

    [ Read More ]

  • নাগপঞ্চমী

    শ্রাবণ মাস এলে চাষিদের মুখে হাসি ফোটে, কবিদেরও, কিন্তু এই সময় সাপেরা তাদের বানভাসি ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে, মানুষ তাদের ভয় পায়, পুজোও করে। সেই কারণেই শ্রাবণের শুক্লা পঞ্চমীকে নাগপঞ্চমী হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর আজ সেই তিথি। সাপকে আমরা ভয় পাই, কিন্তু এই প্রাণীটির কাহিনিতে শত শত, হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় মনের বিবর্তনের কথা ধরা আছে।

    [ Read More ]

  • গুরুপূর্ণিমা

    বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম থেকেই গুরুপূর্ণিমার ধারণাটা এসেছে। বর্ষার একেবারে গোড়ায় গুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষা বা ধর্মনিষ্ঠার পর্ব শুরু হত, আর এই অসুবিধেজনক ঋতুতে সন্ন্যাসীদের জনপদ থেকে সরিয়ে নেওয়াও যেত।

    [ Read More ]

  • অম্বুবাচী

    হিন্দুধর্ম হল পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত ধর্ম। এই ধর্মে এখনও কিছু খুব পুরনো নিয়ম বহাল রয়েছে, যেগুলো সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হয়নি, আধুনিক জীবনের আঙ্গিকে সেগুলি বেমানান। সময়ের সঙ্গে রীতিনীতিগুলো বদলালে জীবনের কিছু কঠোর বাস্তবকে স্বীকার করে নেওয়া অনেক সহজ হত। বস্তুত, কিছু আধুনিক মেয়ে, মা-ঠাকুমাদের অশেষ অস্বস্তিতে ফেলে, ঋতুচক্র বিষয়ে তাদের পুরুষ বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বা লোকসমক্ষে কথা বলা শুরু করার আগে অবধি অত্যন্ত সচেতন ভাবে এই বিষয়ে সমস্ত কথা চেপে রাখা হয়েছে— কেবল গুজগুজ, ফিসফিস।

    [ Read More ]

  • চৈত্রে নতুন বছর

    এত বড় এবং বৈচিত্রময় একটা দেশ, একশো কোটির বেশি মানুষ, অথচ প্রায় গোটা দেশেই নতুন বছর শুরু হয়েছে মোটামুটি একই সময়ে, বড়জোর কয়েক দিনের ব্যবধানে। এটা অবাক করে দেয় বইকী!

    [ Read More ]

  • মহামারী অতীত, মা শীতলা কালজয়ী

    যাঁ রা মনে করেন, শীতলা নিতান্তই গ্রামের অশিক্ষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের আরাধ্য রকমারি স্থানীয় দেবদেবীর এক জন, তাঁদের জানা নেই, তিনি গোটা ভারতে পূজিত হন। কেবল দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকায় তাঁর পুজো হয় না, কারণ সেখানে সর্বার্থসাধিকা দেবী মারিয়াম্মার রাজত্ব। স্কন্দপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের মতো কয়েকটি প্রাচীন পুরাণে শীতলার কথা আছে, সেখানে তাঁকে গুটিবসন্তের (স্মল পক্স) নিয়ন্তা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যজ্ঞের আগুন থেকে তাঁর উদ্ভব, এবং ভগবান ব্রহ্মা কেবল তাঁকে নয়, তাঁর সহচর জ্বরাসুরকেও পুজো করার জন্য মানবজাতিকে উপদেশ দিয়েছিলেন।

    [ Read More ]

  • ভাইফোঁটা

    ভাইবোনের পরস্পর প্রীতি জানানোর জন্য ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা রক্ষাবন্ধনের মতো অনুষ্ঠান ভারতের বাইরে বিশেষ কোথাও নেই। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উত্তর ভারতে ভাই দুজ নামে পরিচিত, বাংলায় ভাই ফোঁটা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও কোঙ্কণ এলাকায় ভাই বীজ বা ভাউ বীজ। নেপালে ভাই টীকা তো প্রায় দশমী বা দশেরার মতো বড় ব্যাপার। দক্ষিণ নেপালে একে যম দ্বিতীয়াও বলা হয়। বা

    [ Read More ]

  • অসুরকেও বাপের বাড়ি টেনে আনলে মা?

    একটা জিনিস পুজোর সময় আমাদের সকলেরই চোখে পড়ে। মা দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই করছেন, অথচ তাঁর ছেলেমেয়েরা নিতান্ত উদাসীন ভাবে পাশে দাঁড়িয়ে। সুদর্শন কার্তিক তাঁর অস্ত্র তোলেন না, গণেশের মুখে তো একটা হাসির আভাস, লক্ষ্মী নিজের ঝাঁপিটা আরও শক্ত করে চেপে ধরেন, সরস্বতীও বীণা হাতে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকেন। এই অদ্ভুত দৃশ্যের অর্থ বুঝতে ইতিহাসের দিকে নজর দিতে হবে। প্রথমে বাইরের ইতিহাস, তার পর ঘরের।

    [ Read More ]

  • আশ্বিনের শারদপ্রাতে

    সবচেয়ে তর্কবাগীশ বাঙালিটিও নিশ্চয় মানবেন, মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ এক বিরল অনুষ্ঠান, যা আমাদের সাংস্কৃতিক অতীতের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে চলেছে। ১৯৩২-এ যখন মহিষাসুরমর্দিনী শুরু হয়, আকাশবাণীর তখনকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার বোধ করি ভাবতেও পারেননি, এ অনুষ্ঠান এতটা সফল হতে চলেছে। আকাশবাণীতে যাঁদের সিরিয়াস আড্ডা থেকে এই অনুষ্ঠানের ভাবনাটা এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, বাণীকুমার, ‘গল্পদাদু’ যোগেশ বসু, রাইচাঁদ বড়াল এবং অবশ্যই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।

    [ Read More ]

  • গণেশ চতুর্থী

    এ দেশে হিন্দু ক্যালেন্ডারের ভাদ্রপদ মাসে শুক্লা চতুর্থী গণেশ বা বিনায়ক চতুর্থী হিসেবে পালন করা হয়। কলকাতার মানুষ গণেশ চতুর্থীকে তুচ্ছ করলে ভুল করবেন। সর্বভারতীয় পরিসরে এটিই দুর্গাপুজোর একমাত্র যথার্থ প্রতিদ্বন্দ্বী। তা ছাড়া, এই উত্‌সব দুর্গাপুজোর চেয়ে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গাপুজো প্রধানত বাঙালির উত্‌সব, বাংলার বাইরে বা বিদেশেও তা-ই।

    [ Read More ]

  • রাখি

    বোনেরা ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দেওয়ার জনপ্রিয় উত্‌সবটি দেখে দুটো কথা মনে হয়। এক, আমাদের ধর্ম ও ইতিহাসের কাহিনিতে ভাইয়েরাই তো চিরকাল বোনদের রক্ষা করে এসেছে, রক্ষাবন্ধন নামক অনুষ্ঠানে ব্যাপারটা তবে হঠাৎ উল্টে গেল কেন?

    [ Read More ]

  • জামাই রহস্য

    এই দিনটাতে আমার মা তাঁর চঞ্চল ছেলেমেয়েদের শীতলপাটিতে বসিয়ে শোনাতেন, কী ভাবে মা ষষ্ঠী সমস্ত শিশুদের মঙ্গল করেন, তাদের দীর্ঘ জীবন দেন। তিনি কয়েকটি মন্ত্র পড়ে একটা অদ্ভুত দেখতে দূর্বাঘাসের ছোট্ট চামর দিয়ে আমাদের গায়ে মাথায় পুণ্যবারি ছিটিয়ে আশীর্বাদ করতেন, মুঠো ভরে ফলমূল দিতেন। বিয়ের পরে আমার বনেদি ঘটি শ্বশুরবাড়িতে দেখলাম, ওঁরা আমার মায়ের সন্তান-ষষ্ঠীকে একটা নিতান্ত বাঙাল ব্যাপার বলে মনে করেন, তাঁদের কাছে এটা একেবারেই জামাইয়ের দিন। আমার অবশ্য তাতে কোনও সমস্যা ছিল না, কারণ আমার শাশুড়ি সে দিন আমার পাতে অন্তত পাঁচ-ছ’রকমের মাছ-মাংস এবং সমানসংখ্যক মিষ্টি সাজিয়ে খেতে বসাতেন। কব্জি ডুবিয়ে তার সদ্ব্যবহার করতাম।

    [ Read More ]