All Bangla Content
আদি নবরাত্রি উৎসব ছিল বসন্তকালে, চৈত্র মাসে। কিন্তু নিঃসন্দেহে, শারদীয় নবরাত্রি বা অকালবোধনকে (রবিবার থেকে মহানবমী অব্দি) ভারতে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়।
I remember the tremendous tension that I went through as SDO nd Magistrate in charge of “Muharram” at Loha Gate in Agarpara in 1978 — as oceans of frenzied humans went all around me, lashing and bleeding themselves with whips, chains and fighting dangerously swords — crying "Ya Hasan, Ya Husain"! It continued through the evening and night. Though there were grievous and other (self-inflicted) injuries, I could report early in the morning, that it was “peaceful” and “law and order under control”.
পুরীর রথযাত্রা বাঙালিকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কথা মনে করিয়ে দেয়, যিনি জগন্নাথের প্রতি চরম ভক্তি ও প্রেমের প্রদর্শনের জন্য পরিচিত ছিলেন।১৫১০ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করার পরে শ্রীচৈতন্য যখন পুরীতে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন যে জগন্নাথের মূর্তিকে আলিঙ্গন করার জন্য দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটেছিলেন।ফলে পুরীর মন্দিরের পুরোহিতরা তাঁকে পাগল ভেবেছিল এবং বিরক্ত হয়ে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেছিল ।
পরমেশ্বরন থনকপ্পন নায়ার বা পি টি নায়ারের প্রধান পরিচিতি, তিনি ছিলেন ‘বেয়ারফুট হিস্টোরিয়ান অব ক্যালকাটা’ বা ‘কলকাতার খালি পায়ের ইতিহাসবিদ’। জন্মসূত্রে মালয়ালি এই ইতিহাসবিদ ৯১ বছর বয়সে কেরলের আলুভায় তাঁর নিজের বাড়িতে মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বছর ছয়েক আগে কলকাতার পাট চুকিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন জন্মভূমিতে। আমি হারালাম এক ৪৫ বছরের পুরনো পারিবারিক বন্ধু আর এক অতি প্রগাঢ় কলকাতাপ্রেমী গবেষককে, যিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এই শহরের ইতিহাস সন্ধানে।
ভারতের শেয়ার বাজারে গত ৪ জুন যে পতন হয়েছে, তেমন ঐতিহাসিক পতন বিগত চার বছরে হয়নি। একদিনে শেয়ার বাজার এতটা পড়েনি। শেয়ার বাজারের সূচক হল সেনসেক্স ও নিফটি। যে মুহূর্তে খবরে প্রকাশ পেল যে অষ্টাদশ লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে, সেদিন সেই মূহূর্ত থেকে সেনসেক্স ও নিফটিতে প্রায় ৫ শতাংশ পতন শুরু হল।
মনে থাকবে। ১৯৬৭, ১৯৭৭ বা ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচন যেমন ইতিহাসে অন্যতম চাঞ্চল্যকর নির্বাচন হিসেবে স্থান পেয়েছে ঠিক তেমনই স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। কোনও সন্দেহ নেই মোদি জামানার পরিসমাপ্তির সূচনা ঘটল এবারের নির্বাচনে। এই দেওয়াললিখন তাঁকে ভবিষ্যতে কতটা সতর্ক করবে তা ভবিষ্যতেই বলবে।
রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত সমগ্র বর্ধমান (পূর্ব এবং পশ্চিম), পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়া, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায় বেশ কয়েকটি ন্যাংটেশ্বর শিবমূর্তি পূজিত হয়। এগুলি প্রকৃতপক্ষে জৈন তীর্থঙ্করদের দিগম্বর মূর্তি। এগুলি প্রাচীন এবং মধ্যযুগে জৈনধর্মের সঙ্গে এই অঞ্চলের যোগাযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
মহাবীর জৈন ধর্মে প্রবর্তক। কিন্তু এই বাংলার সঙ্গেও যে রয়েছে তাঁর গভীর সংযোগ, অনেকে তা জানে না। মূলত, বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে তাঁর সংযোগের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, যা প্রাচীনকাল থেকে 'রাঢ়' নামে পরিচিত।
মোদিজি হয়তো এটা দেখে খানিকটা বিস্মিতই হয়েছেন যে, জানুয়ারি মাসে রামমন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করেই হোক, কিংবা এই এপ্রিলে রামনবমীকে ঘিরেই হোক, বাঙালিকে তেমনভাবে উৎসাহিত হতে দেখা গেল না। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে এসব নিয়ে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ছবি তদ্বিপরীত। বঙ্গ-বিজেপি চেষ্টার খামতি রাখেনি। খোলা তলোয়ার প্রদর্শন থেকে শুরু করে আগ্রাসী শোভাযাত্রা, বাদ ছিল না কিছুই।
জানেন কী, এই হালে গঠিত মধ্যপ্রদেশের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কী ছিল? না, গ্রাম বা শহরের উন্নতি বা গরিব কল্যাণ তো নয়-ই, এমনকি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিও সেখানে স্থান পায়নি। তাদের প্রথম ফরমান হল খোলা বাজারে মাছ-মাংস বা ডিম বিক্রি করা যাবে না। এর অনেক আগেই এই রাজ্যে ও অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলে ডিম বন্ধ করা হয়েছে, যদিও ডাক্তার বলেন অপুষ্ট বাচ্চাদের জন্যে ডিম খুবই স্বাস্থ্যকর।
কাহিনির সূচনা ১৯৫২-র অগাস্ট মাসে সিংহলি রেডিওতে একটি হিন্দি ফিল্মি গানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। পাঁচ বছর আগেই ভারত স্বাধীন হয়েছে। দেশভাগ, দাঙ্গা ও আঞ্চলিক সংঘাতের বাতাবরণেও বাহ্যত দেশটা তখন সংহত, ঐক্যবদ্ধ। তবে সে দেশের না আছে কোনও সাধারণ ভাষা না আছে কোনও অভিন্ন আবেগ।
“ মশাই, কোন সালে জন্ম আপনার? “ কয়েক বছর আগে অবধি এরকম প্রশ্নের উত্তরে কোনও আম ভারতীয় বলতেন, “ ওই যে বছর বন্যা হল, সে বছরে” কিংবা “ভূমিকম্পের পরের বছর”। সালের অনুল্লেখ ছিল অবশ্যম্ভাবী। আর সালটা যে দিন থেকে শুরু হচ্ছে, সেই নিউ ইয়ার্স ডে বা নববর্ষের দিনটা কেউ খেয়ালই করত না।
গত ১২ অক্টোবর, ২০২৩-এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল টাইমস’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিরোনাম, ‘আদানির কয়লা আমদানি রহস্য যেটার মূল্য চুপচাপ দ্বিগুণ হয়ে গেল’। এই শিরোনামের নিচে কিছু কথা লেখা ছিল উপশিরোনাম হিসেবে। সেটাও সমানভাবে স্পষ্ট। সেখানে লেখা : কাস্টমস-এর নথিপত্র থেকে বোঝা যায়। ‘সাগরপাড়ের ফড়েদের ব্যবহার করে ভারতীয় বাণিজ্যসংস্থাগুলির একীভূত সংস্থা জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে।’
গান্ধী জয়ন্তী দিন মনে পড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) আর হিন্দু মহাসভা কি ভাবে ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। শুধু তাই না, তারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের থেকে সব সময় দূরত্ব বজায় রেখেছে। এমনকি ১৯৪২-এ গান্ধীজির ডাকা ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন, যাকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সঙ্কটময় মুহূর্ত বলা হয়, সেই সময়ও এই দুই সংস্থা ব্রিটিশ সরকারেরই পাশে ছিল, গান্ধীর দিকে নয়। মহাসভার সাভারকর ইংরেজদের সরাসরি সাহায্য না করলেও পরোক্ষ ভাবে মদত জুগিয়েছেন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে বিশ্বের একটি সেরা ঐতিহ্যের স্থান হিসাবে চিহ্নিত করার পর থেকে প্রচুর আলোচনা ও জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিহাস বা সংস্কৃতি নিয়ে উৎসাহ যত বাড়ে ততই মঙ্গল। কিন্তু স্বাভাবিক প্রশ্ন : এই বিশ্ব সম্মানটি ঠিক কী আর তা বলতে কী বোঝায়?
দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানুষেরা যখন হিন্দুত্বের উগ্র রূপ দেখে খুব বিব্রত হচ্ছিলেন তখন অনেকেই খেয়াল করেননি যে ‘হিন্দিত্ব’ হয়তো তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর। ‘হিন্দিত্ব’ সংখ্যাগুরুদের মধ্যেই হিন্দি ভাষাকে গায়ের জোরে চাপিয়ে দিচ্ছে। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রধান হিন্দুত্বের চেয়েও অধিক ক্ষতিকর এই ‘হিন্দিত্ব’। এর প্রবক্তারা বলেন যে, হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা তাই দোষ নেই, কিন্তু তা সত্যি নয়। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষা কিছু নেই।
‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর ঢক্কনিনাদ চারিদিকে চলছে। অগাস্ট মাসে এসব শুনলে সাধারণ লোকের মধ্যে দুটো ধারণা তৈরি হতে বাধ্য। এক, বর্তমান মোদি জমানা পূর্ববর্তী যে কোনও জমানার চেয়ে অধিকতর আগমার্কা জাতীয়তাবাদী। দুই, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি এরা ভীষণ শ্রদ্ধাশীল।
পাঁচ মাস আগের ঘটনা। ১৬ জানুয়ারি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘হাউ ইন ফার্স্ট এইট ইয়ার্স ওব মোদি গভর্নমেন্ট, নিয়ারলি রুপিজ ১২ লাখ ক্রোর ডিসঅ্যাপিয়ার্ড।’ কীভাবে মোদি সরকারের প্রথম আট বছরে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেল। এই বিপুল অঙ্কের ১২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাবে পৌঁছনো গিয়েছিল সংসদে সরকার তার ‘আট বছর সময়কালে’র মধ্যে পাঁচ বছরের যে হিসাব দিয়েছিল তার ভিত্তিতে করা গাণিতিক অনুমান বা extrapolation-এর সাহায্যে।
প্রতিটি অনাদায়ী ঋণ অকার্যকর সম্পদ বা এনপিএ-তে পরিণত হয় না। এনপিএ কথাটি প্রযোজ্য সেইসব ব্যাঙ্ক ঋণের ক্ষেত্রে যেগুলি পরিশোধের সময় ৯০ দিনেরও বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। এটা সত্য। কিন্তু বাস্তবে পরিশোধের নির্দিষ্ট সময়ের পর ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেই অনাদায়ী ঋণকে অকার্যকর সম্পদ হিসেবে দেগে দেওয়া হয় না। ব্যাঙ্ক বছরের পর বছর ধরে সেই খাতটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে, সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ করে, তারপর সেটাকে ‘ক্ষতি’ বলে চিহ্নিত করে। ওই অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্কের খাতা থেকে মুছে ফেলার আগে ব্যাঙ্ক চার বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ঋণ কাঠামোর অদলবদল করে মূল টাকাটা এবং তার সঙ্গে যতটা পারা যায় সুদের পরিমাণ উদ্ধারের প্রয়াস চালায়।
শোনা যাচ্ছে যে আগামী ২৮ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি চকচকে নতুন সংসদ (New Parliament) ভবন আমাদের উপহার দেবেন। অবশ্য, আমরা কখনও এটি চেয়েছি বলে কেউ মনে করতে পারছি না। তা সত্ত্বেও তিনি দেশবাসীর দেওয়া আয়কর আর জিএসটির ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে এই ত্রিকোণ গৃহটির উদ্বোধন করার জন্যে ছটফট করছেন।
মৃণাল সেনের ফিল্মের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল, তবে বাক্তিগতভাবে আলাপ হল ১৯৯৭ সালে। 'ক্যালকাটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এর কমিটিতে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর। সেই সুবাদে ঘনিষ্ঠ পরিচয় গড়ে ওঠে। প্রচুর আড্ডা মেরেছি ওঁর সঙ্গে। মাঝে মাঝে দেখাসাক্ষাৎ না হলে গৌতম ঘোষকে ডেকে বলতেন — তোমার আইএএস বন্ধুটির খবর কী?