Bangla Language। বাংলা ভাষা
-
অমিতাভ বচ্চনের প্রথম পেমেন্ট
মৃণাল সেনের ফিল্মের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল, তবে বাক্তিগতভাবে আলাপ হল ১৯৯৭ সালে। 'ক্যালকাটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এর কমিটিতে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর। সেই সুবাদে ঘনিষ্ঠ পরিচয় গড়ে ওঠে। প্রচুর আড্ডা মেরেছি ওঁর সঙ্গে। মাঝে মাঝে দেখাসাক্ষাৎ না হলে গৌতম ঘোষকে ডেকে বলতেন — তোমার আইএএস বন্ধুটির খবর কী?
-
বাংলা ও তার ফারসি উত্তরাধিকার
আমরা সবাই জানি অষ্টম শতক থেকে আরব ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে ইসলামি সংস্কৃতি বাংলায় প্রবেশ করেছিল। তবে ১২০৪ সাল থেকে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে অনুভূত হয় কারণ এই সময় ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বাংলার সেন বংশকে উৎখাত করে শাসন ক্ষমতা দখল করেন। এভাবে বাংলা হয়ে ওঠে দিল্লির নব্য প্রতিষ্ঠিত সুলতান বংশের অন্যতম পূর্বতম প্রদেশ। এই সুলতানি বংশ আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পারস্যায়িত তুর্কদের হাতে । এই বিজয় এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল।
-
মোদিজি, শুনছেন?
আর কিছুদিন পরেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন, যদিও সাংসদরাই এখনও পর্যন্ত জানেন না উদ্বোধনের সঠিক দিনক্ষণ-মুহূর্ত। কিন্তু ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই নতুন ভবন নির্মাণের আবশ্যকতা কী ছিল? গৃহ ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছেন পুরনো সংসদ ভবনটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের ঐতিহ্যবাহী এবং শতবর্ষপ্রাচীন হওয়ার কারণে বিপজ্জনকও বটে। এভাবে প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যাত হওয়ার পর এনিয়ে প্রশ্নবাণে প্রধানমন্ত্রীকে জর্জরিত করলেন সাংসদ জহর সরকার।
-
কীভাবে ১২ লক্ষ কোটি উধাও হয়ে গেল !
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সংসদে প্রশ্নের জবাবে এমন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কিছু সংখ্যা পরিসংখ্যান প্রদান করছে যে তার থেকে পুরো চিত্রটা অনুধাবন করা সহজ নয়। তাই আমরা ঠিক করেছি দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী ঋণের দায়ে ব্যাঙ্কগুলো ক্ষতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী যেসব কথা সংসদে বলেছেন, সেগুলো একত্রিত করে পরিবেশন করব। আমরা আবিষ্কার করেছি ১২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কগুলো থেকে সরানো হয়েছে এবং এই কম্মটি করেছেন মূলত বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলো। এই অপকর্মটি তাঁরা করেছেন নরেন্দ্র মোদির শাসনকালের প্রথম আট বছরেই।
-
আলোর চেয়েও দ্রুততর নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ
নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলকে যেরকম তড়িদগতিতে নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শীর্ষ আদালতও। মোদি জমানার আরও কীর্তি ‘সুপ্রিম’ প্রশ্নের মুখে। লিখছেন সাংসদ জহর সরকার
যেরকম দ্রুততার সঙ্গে অরুণ গোয়েলের নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এই বাহ্য, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গুলি নির্দেশে যেভাবে বিদ্যুৎ গতিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে, সেটা এককথায় তুলনারহিত। তাবৎ পরম্পরা এবং প্রতিষ্ঠিত নীতিসমূহ পরাস্ত হয়েছে এই দ্রুততার কাছে। অরুণ গোয়েল কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পদে ইস্তফা দেন। ইস্তফাদানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভিজিলেন্সের ছাড়পত্র পান আর প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগ পত্রটি সঙ্গেসঙ্গে অনুমোদন করেন। অন্যদের চাকরির নথি ঘেঁটে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধার জাবেদা-খতিয়ান প্রস্তুতিতে যেখানে কেয়কদিন কেটে যায়, সেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শ্রী গোয়েলের পেনশন, গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ তাবৎ বকেয়া প্রদানের ব্যবস্থা হয়ে গেল এক ঘণ্টার মধ্যে। এটা আরও বিস্ময়জনক বলে প্রতীয়মান হয় যখন দেখি শ্রীগোয়েলের চাকরির মেয়াদটি বড় কম ছিল না। তিনি দীর্ঘ ৩৬ বছর সরকারে চাকরি করেছেন, কখনও রাজ্যে কখনোবা কেন্দ্রে।
-
করবা চৌথ
আঞ্চলিক উৎসবগুলির মধ্যে যেগুলি বলিউডের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সর্বাধিক প্রচারিত হয়েছে, করবা চৌথ ব্রতটি তার মধ্যে অন্যতম। মুম্বইয়ের গণেশ উৎসবের মতো এর আবেদনও চলচ্চিত্রে অনস্বীকার্য। তবে গণেশ পুরাণে বর্ণিত একজন হিন্দু দেবতা। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই কখন করবা চৌথ ব্রতের নাম সেভাবে জানত না — যদি না এটি হিন্দি সিনেমায় ব্যাপক ব্যবহার হতো।
-
পূর্ব ভারতে আজ ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা
আজ বাংলার ঘরে ঘরে ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। আর অসম, ওড়িশা ও ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলে কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত। পূর্বাঞ্চলে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাতে লক্ষ্মীকে আহ্বান করা হয়। সেখানে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে একটু পরে, অন্ধকার রাতে, কার্তিক মাসের অমাবস্যাতে দীপাবলি হিসাবে লক্ষ্মী পূজার জন্য প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। দক্ষিণে কয়েকদিন আগেই নবরাত্রি পালন অর্থাৎ ৯টি রাতের মধ্যে ৩টিতে লক্ষ্মীর পূজা করার ঐতিহ্য রয়েছে। কয়েক সহস্রাব্দ ধরে ভারতে ঐক্যের মধ্যে এভাবেই বৈচিত্র্যের বিকাশ ঘটে চলেছে।
-
বিশ্বরাজালয় বিশ্ববীণা বাজিছে
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা, ইউনেস্কো, কলকাতার দুর্গা পুজোকে এক বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে। এর নাম ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’, যার মানে সম্পূর্ণ মানব জাতির এক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এতে শুধুমাত্র গর্বিত হলে হবে না, আমাদের দায়িত্বও অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
-
এও এক কঠিন প্রতিযোগিতা
গত বছর ইউনেস্কো, অর্থাৎ রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা, কলকাতার দুর্গাপুজোকে বিশাল সম্মানে ভূষিত করেছে। আমাদের শারদীয় উৎসব হল একটি ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’, মানে মানবজাতির এক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই প্রথম বার কলকাতার কোনও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এত বড় বিশ্বব্যাপী সম্মান পেয়েছে, অতএব মহানগরীর উৎফুল্ল হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ‘কিন্তু এতে রাজ্য সরকার এত উল্লসিত কেন, প্রস্তাবটি তো তৈরি করেছিলেন দক্ষ বিশেষজ্ঞরা?’— যাঁরা এই ধরনের হিংসুটে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা জানেন না যে এর আগে কোনও রাজ্য সরকার এই সব বিষয়ে কোনও উৎসাহই দেখাত না। তাই শান্তিনিকেতনকেও বিশ্বসম্মান দেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। আমাদের ছৌ নৃত্য যখন ২০১০-এ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছিল তখন কেউ জানতেই পারেনি, কেননা রাজ্যে কোনও প্রচারই হয়নি। ছৌ নিয়ে কিন্তু ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড মেতে উঠেছিল।
-
ঐতিহ্য আলাদা, দায়িত্বও অনেক
কলকাতা মহানগরীর সঠিক এবং প্রাণবন্ত কেন্দ্রবিন্দু বলতে আমরা সাধারণত ধর্মতলা ও চৌরঙ্গীর সংযোগস্থলকেই মনে করি। দীর্ঘ উত্তর -দক্ষিণ সড়ক কে অনেক নামে চিনি — চিৎপুর, বেন্টিঙ্ক, চৌরঙ্গী বা জওহর লাল নেহেরু রোড, আশুতোষ মুখার্জি ও শ্যামাপ্রসাদের নামের রাস্তা, তারপর দেশপ্রাণ শাসমল রোড। আবার পশ্চিমে গঙ্গার দিক থেকে পূর্বে যাওয়া রাজপথকে আমরা বরাবরই ধর্মতলা বলেই ডেকেছি, যদিও পুরপিতারা অনেক দিন আগেই এর নাম বদলেছেন লেনিনের সম্মানে। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে আমরা কিন্তু একবারও প্রশ্ন করিনা আড়াইশ বছর পুরানো এই দুই প্রধান সড়ক কাদের ইতিহাস বহন করে চলেছে। ধর্মতলা কোন ধর্মের নামে? আর ওই চৌরঙ্গীর মানে কি?
-
কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসুন বি জে পি বিরোধী শক্তিকে জোরদার করুন
উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া, পাঞ্জাব, মণিপুর, এই পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল দেখে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপিকে হারাতে গেলে আরও অনেক বেশি প্রস্তুতি চাই।
মণিপুরে কংগ্রেস কোন প্রতিদ্বন্দিতাই দিতে পারেনি।পাঞ্জাবে কংগ্রেস সুইসাইড করল। এখানে ক্যাপ্টেন অরমিন্দর সিংকে আর অন্যান্য বালিস্ট নেতাদের নিয়ে খেলার ফলে কংগ্রেস দল বিভক্ত হয়ে গেল এবং মানুষ বিজেপিকেও ভোট না দিয়ে আম আদমি পার্টিকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করলেন।
-
মোদীর বাজেটে উপেক্ষিত সাধারণ মানুষের সমস্যা
কিছুদিন আগে ডঃ কৌশিক বসু, ভারত সরকারের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও পরবর্তী কালে বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আর্থিক পুনরুদ্ধার নিয়ে উল্লসিত হবার কোন কারণ নেই। উনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলেন যে মোদী ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.২% (২০১৬-১৭) থেকে -৭.৩% (২০২০-২১) এ নিয়ে এসেছেন।
-
মোদী আপনি মিথ্যুক
নরেন্দ্র মোদী তাঁর কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বহ কৃষক ও সাধারণ মানুষ উল্লসিত হয়েছেন। কিন্তু দল ও মিডিয়ার মধ্যে মোদীর অনুরাগীরা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিগত এক বছর ধরে তাঁরা কৃষি আইনের পক্ষ নিয়ে সোচ্চার হয়ে ক্রমাগত কৃষকদের খালিস্তানি, রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে এসেছেন।
-
সাংবিধানিক ঐতিহ্য ধ্বংসকারী মোদি সরকার
নরেন্দ্র মোদি যে এখন কতখানি মরিয়া হয়ে উঠছেন সেটা তাঁর দৈনন্দিন বিভিন্ন হতাশা প্ররোচক পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। একদিন হঠাৎ দিল্লির ঐতিহাসিক ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতি চিরকালের মতো বুজিয়ে দেন আবার তার পরের দিন সকলের হইচই দেখে তাড়াহুড়ো করে একটি ঘোষণা করলেন যে ওর পাশের বেদিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি মূর্তি স্থাপিত হবে।
-
অবিস্মরণীয় গৌরবসিক্ত এক অর্জন
যাঁরা ১৯৭১এর ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির ক্রমবিকাশ, বিবর্তন ও বাংলাদেশের জন্মের অধ্যায় চোখের সামনে দেখেছেন তাঁদের অনুভূতি, আর যাঁরা পরবর্তী কালে ওই সব গল্পের কথা শুনেছেন বা পড়েছেন কখনই এক হতে পারে না। সেই গভীর আবেগ যার সাথে জড়িয়ে ছিল রাগ, ক্ষোভ, উত্তেজনা, আশা, স্বপ্ন আর এক অদ্ভুত বুকফাটা গর্ব-- আর কোনো দিন বাঙালি জাতি ঠিক ওই ভাবে ওই উল্লাস উপলব্ধি করতে পারবে কি না সন্দেহ। আজ পঞ্চাশ বছর পরেও আমরা যতই বিশ্লেষণ করিনা কেন এর সদুত্তর পাওয়া সত্যিই দুষ্কর।
-
আমার গুরু শাঁটুলদা
দ্বন্দ্বহীন হয়ে বলতে পারি, রাধাপ্রসাদ গুপ্ত বা 'শাটুলদা'-ই আমার এক ও অদ্ধিতীয় 'গুরু'। স্বীকার করতে সামান্য দ্বিধাও নেই যে, শাটুলদার সঙ্গে দেখা না হলে আমার মনোজগৎ ও বহির্বিশ্ব-চেতনা এতখানি সমৃদ্ধ হয়ে উঠত না। যে বিপুল খ্যাতি এবং মহাস্তরীক ব্যুৎপত্তি তিনি অর্জন করেছিলেন তা সীমাবদ্ধ থাকেনি কোনও একটি বা দু'টি বিষয়ে। অবলীলাক্রমেজ্ঞানচর্চার বহু শাখায় তিনি বিচরণ করেছিলেন।“বহুমুখী প্রতিভাধর" বলতে যা বোঝায়, আমার চোখে রাধাপ্রসাদ গুপ্ত ঠিক তা-ই। পাশাপাশি তিনি একজন অনবদ্য কথক।
-
মোদীর মানসিকতা অতি ভয়ংকর
নরেন্দ্র মোদী তাঁর তাঁর কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বহ কৃষক ও সাধারণ মানুষ উল্লসিত হয়েছেন। কিন্তু দল ও মিডিয়ার মধ্যে মোদীর অনুরাগীরা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। বিগত এক বছর ধরে তাঁরা কৃষি আইনের পক্ষ নিয়ে সোচ্চার হয়ে ক্রমাগত কৃষকদের খালিস্তানি, রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে এসেছেন।
-
বাঙালি সঙ্কীর্ণ? নৈব নৈব চ — এই রাজ্যের মানুষ উদার, কিন্তু জবরদস্তি তাঁরা সহ্য করেন না
পশ্চিমবঙ্গের ২০২১ সালের নির্বাচনের ঐতিহাসিক ফলাফল দেখে আমাদের অনেকের বিশ্বাস হল যে, বাঙালির এখনও লড়ার ক্ষমতা আছে। রাজ্যের নির্বাচকরা ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁদের কাছে ওঁর ‘ডবল ইঞ্জিন’ উন্নয়নের টোপের থেকে আত্মসম্মান ও বহুত্বের মূল্য অনেক বেশি। এ রাজ্যে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর কুড়িটি সফর ও কাঁড়ি কাঁড়ি জনসভার পরেও তাঁর ম্যাজিকে কাজ হল না কেন, তা উপলব্ধি না করেই তাঁর দল বাঙালিদের তথাকথিত উগ্র আঞ্চলিকতাকে দোষ দিল।
-
ধনতেরাসের সন্ধানে
বছর কয়েক ধরে দেখা যাচ্ছে যে দীপাবলী বা দিওয়ালির দু দিন আগে উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় রীতি অনুযায়ী ধনতেরাস পরব টি এখন এক শ্রেণীর বাঙালির কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওদের পাঁচ দিনের লক্ষী ও কৃষ্ণকেন্দ্রিক অতি উজ্জ্বল দিওয়ালি আর আমাদের এক ঘোর অমাবস্যা রাত্রের কালীপূজার মধ্যে এমনিতেই প্রচুর পার্থক্য আছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে দিওয়ালি শুরু হয় ধনতেরাস দিয়ে।
-
মোদীর Bad Bank ভাই-ভাই পুঁজিবাদের নতুন কৌশল
গত 15 সেপ্টেম্বরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার হঠাৎ একটি ‘Bad Bank’ ঘোষণা করল আর মন্ত্রিসভা একইসঙ্গে এই অদ্ভুত ব্যাঙ্কের খাতে বিপুল 30,600 কোটি টাকার সরকারি গ্যারান্টি অনুমোদন করল। এই ব্যাঙ্কের আসল নাম National Asset Reconstruction Company Limited, সংক্ষেপে এনএআরসিএল। বাংলায় তর্জমা করলে যার অর্থ হয় জাতীয় সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা।
Page 2 of 6